নববধূকে তুলে নিতে বৌভাত অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৭
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কুমিলার দেবিদ্বারে বৌভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টাকালে সাত যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সঙ্গে গত ১ ফেব্র“য়ারি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়। আজ শুক্রবার বরের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে নববধূর কলেজের সহপাঠী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটার দিকে ২৫/৩০ জনের একদল যুবক অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা অনুষ্ঠানের লোকজনদের মারধর করে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
আটকরা হলেন- কুমিলার বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের জাফর হোসেন (১৮), কোরপাই গ্রামের সজিব পাল (১৮), চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের কাউছার আহম্মেদ (২০), আদর্শ সদর উপজেলার আনন্দসার গ্রামের আলী হোসেন (২০), দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মেহেদী হাসান (১৮), সূর্যপুর গ্রামের মো. আলম (২২) ও মহরং গ্রামের নাইদুল ইসলাম (১৮)। এ সময় কথিত প্রেমিক ইসমাইলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হয়।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন জানান, কনে ফাতেমা আক্তার দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নকালে বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে ইসমাইল হোসেন একাধিকবার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে সাড়া না দেয়ায় ফাতেমাকে তিনি হুমকি দেন। ফাতেমার বিয়ের খবর পেয়ে ইসমাইল ক্ষুব্ধ হয়ে একদল বখাটে নিয়ে বৌভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের মধ্যে সাতজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় নয়জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে রাতে থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক ইসমাইলসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।