নদী তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ চলবেই : নৌ প্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নদী তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ঠেকাতে কারও প্রভাবই খাটবে না হুঁশিয়ার করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বুড়িগঙ্গা তীরে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান চলার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান নদী তীর দখলমুক্তিতে অভিযানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখতে পারবেন কি না? এতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না?
জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, সরকারের থেকে প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি হতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। এখান থেকে পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
বুড়িগঙ্গার তীর উদ্ধারে আদালতের আদেশে বিআইডব্লিউটিএর গত কয়েকদিনের অভিযানে কয়েকশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। আরও ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)।
এই অভিযানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের নিজের এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের শ্বশুরের বাড়ি ভাঙা পড়ে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক বৈঠকে ঢাকার চারপাশের নদী ও চট্টগ্রামের কর্তফুলী নদীর দূষণ বন্ধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নদী রক্ষায় টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে।
নদী পথের উন্নয়নে ১০ বছর মেয়াদে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌ পরিবহনসহ সকল সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেক সেক্টরের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় তার বাইরে নয়।