নতুন দল গঠনের ইচ্ছা হিরো আলমের
নানা কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন হিরো আলম এবার জানালেন নতুন স্বপ্নের কথা। বগুড়ার দুটি আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার পর তিনি জানালেন আগামীতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। দেশের মানুষকে নতুন কিছু দেওয়ার জন্য দল গঠনের ইচ্ছার কথা জানান এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ‘রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম’ এক টকশোতে অংশ নিয়ে নিজের এমন ইচ্ছার কথা জানান আলোচিত-সমালোচিত এই ইউটিউবার। অনুষ্ঠানে আরেকজন আলোচক ছিলেন ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউবার হিরো আলমের কাছে তার রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং কোনো জোট বা দলে যোগ দেবেন কি না এমন প্রশ্ন করেন।
জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সব সময় জনসেবা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। তবে ছোট ছোট কিছু দল যোগাযোগ করেছিল আমার সঙ্গে। কোনো দলে যোগ দিব কি না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।’
নিজের কোনো রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত একটা জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে।’
কেমন রাজনৈতিক দল করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।
সমাজ পাল্টাতে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে এমন মন্তব্য করে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘সমাজ পাল্টাতে হবে যদি আমরা চাই। দলেরও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আগের যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। যারা চালাচ্ছেন, একই রকমভাবে চালাচ্ছেন। যিনি ক্ষমতায় আছেন, তার বাবাও আছে, বাবা গেলে ছেলে আছে। তারা কিন্তু দলে আসন ছাড়ছেন না। এতে দলে এবং দেশে কোনো পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের পরিবর্তন করতে গেলে নতুনদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবর্তন আনার জন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।’
একসময় ইউপি নির্বাচনে অংশ নিলেও ইউটিউবার হিরো আলম সম্প্রতি উপনির্বাচনে অংশ নেন। প্রথমে প্রার্থিতা বাতিল হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরে তা ফিরে পান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আলোচিত হিরো আলম।
বগুড়া-৪ আসনের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে অল্প ভোটে পরাজিত হন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অন্য আসনটিতেও হেরে যান আলোচিত এই ইউটিউবার।
ভোটের পর হিরো আলম দাবি করেন জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ফলাফল পরিবর্তনের দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই ইউটিউবার।
Share this: