November 29, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে জরিপ চলছে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে ২-ডি এবং ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সোমবার (৯ আগস্ট) ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আরও নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি সিসমিক জরিপ এবং ১ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার জন্য  এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং প্রবর্তন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুদ নির্ধারণ, আহরিত জ্বালানি সম্পদ ব্যবহারের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং এ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।

সরকারপ্রধান জানান, ২০০৯ সাল থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ২১টি অনুসন্ধান, ৫০টি উন্নয়ন ও ৫৬টি ওয়ার্কওভার কূপ খননের ফলে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। আমদানিকৃত এলএনজিসহ বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ দৈনিক ৩ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। সারাদেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য গ্যাস নেটওয়ার্ক রাজশাহীতে সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং বগুড়া-রংপুর সৈয়দপুর পাইপলাইন নির্মাণ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য গ্যাস বিতরণ লাইন স্থাপন এবং পায়রা বন্দরে ফ্লটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও ২০৪১ সাল পর্যন্ত গ্যাসের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মাতারবাড়িতে দৈনিক ১ হাজার ঘনফুট ক্ষমতার ১টি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ অর্জনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, গৃহস্থালি, সিএনজি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বর্ধিত হারে গ্যাস সরবরাহ করার ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধকল্পে আবাসিক গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।

জ্বালানির ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জ্বালানির অপচয় রোধ করে সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ দিবসটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *