নগর যুবলীগের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কমিটিগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ
জয়নাল ফরাজী
খুলনা মহানগর যুবলীগের অন্তর্গত ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কমিটিগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মীসভা করার মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হবে। কমিটিতে প্রবীণ-নবীনের সমন্বয়ে অথবা দলের প্রয়োজনে পুরোটাই তরুণদের নিয়ে কমিটি করা হবে। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতারা। আর কোনক্রমেই বিতর্কিতরা কমিটি স্থান পাবেন না বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
নগর যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ৫টি থানা রয়েছে। এরমধ্যে ২৯ ও ৩১নং ওয়ার্ডে আহবায়ক কমিটি ও ১৬, ১৮, ১৯, ২০, ২৬নং ওয়ার্ডে সভাপতি-সম্পাদকের সমন্বয়ে কমিটি রয়েছে। ৫টি থানার মধ্যে সদর, সোনাডাঙ্গা ও খানজাহান আলীতে আহবায়ক কমিটি রয়েছে। তবে এর সবগুলোই অনেক আগের করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বাকি ওয়ার্ড ও থানাগুলোতে নেতৃত্ব প্রত্যাশী অনেক নেতাকর্মী থাকলেও পূর্বের নেতারা কমিটি দিতে পারেননি। যার ফলে ওয়ার্ড পর্যায়ে যুবলীগের কার্যক্রম দুর্বল বললেই চলে।
একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সফিকুর রহমান পলাশ ও শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের সমন্বয়ে নগর যুবলীগের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পর নতুন করে আশার আলো সঞ্চার হয়েছে দীর্ঘদিনের পদবঞ্চিত, ত্যাগী নেতাদের মধ্যে। গ্র“পিং-লবিংয়ের কারণে অনেকেরই যোগ্যতা থাকার পরও বিগত সময়ে নেতৃত্বে আসতে পারেননি। নতুন করে মহানগর কমিটি গঠন হওয়ার পর এসব পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা নেতৃত্বে আসতে মুখিয়ে আছেন। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্র“য়ারি নগর যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায়ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের কমিটিতে পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করা হবে। শীঘ্রই কর্মীসভার মাধ্যমে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাদের নামে অভিযোগ আছে, যারা সমাজে বিতর্কিত; তাদের কোনভাবেই নেতৃত্বে আনা হবে না। শতভাগ পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিরাই কমিটিতে স্থান পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা মহানগর যুবলীগকে আমরা রোলমডেলে পরিণত করতে চাই। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আগে সুনাগরিক হতে হবে এবং জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।’
এ বিষয়ে নগর যুবলীগের আহবায়কসফিকুর রহমান পলাশ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পরই খুলনায় ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। দলের পরীক্ষিত ও মেধাবীদের নিয়ে তরুণ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হবে ইউনিট কমিটিগুলো। যাদের নামে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে; তারা কমিটি স্থান পাবেন না। কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগরীর যেসব ওয়ার্ডে কোন কমিটিই নেই সেসব ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে। তাদের কার্যক্রম দেখে পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে। যারা পূর্বে থেকেই নেতৃত্বে আছেন, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে এক্ষেত্রে তাদেরকে আর নেতৃত্বে আনা হবে না।’