December 22, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

নগরীর ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালের দখলদার উচ্ছেদে শীঘ্রই অভিযান

 

৪৬০ জন অবৈধ দখলদার ও ৩৮২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত

 

দ: প্রতিবেদক

খুলনা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন ৩টি উপজেলায় ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালে দখলে থাকা ৪৬০ জন অবৈধ দখলদার ও ৩৮২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এদেরকে উচ্ছেদের জন্য শীঘ্রই জেলা প্রশাসন ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হবে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময় খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল­াহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন, খুলনা শিশু হাসপাতালের অতিরিক্ত তত্ত¡াবধায়ক, ডাক্তার এবং নার্সসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ১৫ কোটি টাকার চেক শিশু হাসপাতালে নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন উপজেলা সমূহের পানি নিষ্কাশনের সাথে জড়িত ভূমি, নদী ও খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলমুক্তসহ পানি চলাচল নিশ্চিতকরণের জন্য ৩টি কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হলো টেকনিক্যাল কমিটি, বাস্তবায়ন ও পুনরুদ্ধার কমিটি এবং বাস্তবায়ন ও পুনরুদ্ধার উপদেষ্টা কমিটি।

টেকনিক্যাল কমিটি কর্তৃক খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও তৎসংলগ্ন ৩টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ময়ূরনদীসহ ২৬টি খাল/নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রনয়ণের জন্য ৪জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার/প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৬টি সাব-টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।

উক্তসাব-টেকনিক্যাল কমিটি সমূহ দীর্ঘ ৪ মাস কাজ করে খুলনা মহানগরী ও তৎসলগ তিন উপজেলায় সিএস ম্যাপ অনুসরণপূবক ২৬টি খাল ওনদীর সীমানা চিহ্নিত করণ, অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন, সীমানা পিলার স্থাপন এবং স্কেচম্যাপ তৈরী করা হয়।

কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৬০ জন অবৈধ দখলদার এবং ৩৮২ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসক, খুলনা-এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে সিএসম্যাপ অনুযায়ী খুলনা মহানগরী এলাকায় যৌথ জরীপকৃত ভৈরব ও রূপসা নদীর ৪টি (বানিয়াখামার, হেলাতলা, টুটপাড়া ও লবণচরা) মৌজায় নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হয়েছে এবং ১,১৫৪ জন অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল তিলোত্তমা খুলনা মহানগরী গড়তে অতিশীঘ্রই এইসব নদী-খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সংকল্প ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *