নগরীর ছোট বয়রা শশ্মানঘাটে ভূমি জরিপে অনিয়মের অভিযোগ
দ: প্রতিবেদক
খুলনার শশ্মানঘাট, আন্দিরঘাট ও মীরের ঘাট এলাকার উত্তর পার্শ্বের বাসিন্দারা ভূমি জরিপের অভিযোগ উলেখ করে সিএস ও এস,এ ম্যাপের উপর ভূমি জরিপের আবেদন করেছেন। গত ১৩ ই ফেব্র“য়ারি গণস্বাক্ষরিত খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদত্ত আবেদনে বলা হয়েছে উক্ত এলাকার খালের উত্তর পাশে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের লোকেরা জমি খরিদ পূর্বক সরকারকে কর খাজনা দিয়ে, রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু গত এস,এ জরিপের সময় বিভিন্ন অনিয়েমের কারনে আর এস জরিপে খালের সীমানা সঠিক হয়নি। তাই সঠিক ভাবে খালের সীমানা বের করতে সিএস ও এস,এ নকশার উপরে মাপ দিলে সঠিক ভাবে খালের সীমানা বের হবে। এ জন্য সরকারি খাল যাতে শর্তভাগ উদ্ধার হয় সেজন্য তারা জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, অত্র এলাকায় বেশীরভাগই স্বল্প আয়ের লোকের বসবাস। যথারীতি রেকর্ড করিয়ে সরকারকে কর ও খাজনা দিলেও গত আর.এস. জরিপের সময় বিভিন্ন অনিয়মের কারনে আর.এস. পদ্ধতিতে খালের সীমানা পরিমাপ করা হয়, যে মাপটি সঠিক হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
উলেখ্য যে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ‘সি.এস. এবং এস.এ’ পদ্ধতিতে খালের সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, কেসিসি ও দিঘলিয়া সার্ভেয়ারবৃন্দ সেই নির্দেশ অনুসরণ করছেন না, ফলে এই জরিপ ও খালের সীমানা ত্র“টিযুক্ত থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। তারা জানান, গত ১০ই ফেব্র“য়ারী থেকে শুরু হওয়া এই খাল জরীপে খালের দক্ষিণ পাশে (আছান আলী মৌজা ডুমুরিয়া) সি.এস. ও এস. এ. নকশায় জরিপ চললেও খালের উত্তর পাশে (বয়রা/রায়ের মহল মৌজা) আর.এস. নকশায় জরীপ চলছে। যার কারনে খালের সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী সি.এস. /এস.এ. নকশায় সরকারী খালখনন করার একান্ত আবেদন জানান।