December 22, 2024
আঞ্চলিক

নগরীর খন্ড-বিখন্ড লাশের পরিচয় সনাক্ত

ব্যবসায়ী লেনদেনকে কেন্দ্র করে কৌশলে
ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে: পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে গতকাল উদ্ধার হওয়া খন্ড দেহের অজ্ঞাত ব্যাক্তির পরিচয় উদ্ধার করেছে। হাবিবুর রহমান সবুজ (২৬)। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উমরা পাড়ার বাসিন্দা। সে ইট ভাটায় শ্রমিক প্রদানের ঠিকাদারী করে। অনেক মানুষ তার কাছে টাকা পায়।
জানা গেছে, বেড়ানোর কথা বলে নিজের মোটর সাইকেলে খুলনায় আসে সাতক্ষীরার সবুজ। এর তিন দিন পর তার বস্তাবন্দী খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে গতকাল শুক্রবার সকালে সবুজের ফোন থেকে তাদের বাড়িতে একটি কল আসে। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় ‘সবুজকে আমরা বেঁধে রেখেছি। ছয় লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে’। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার সবুজের লাশ শনাক্ত করেছেন তার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওমরাপাড়া গ্রামের আদুল হামিদ সরদার। সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করে। কয়েকদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত মা জাহানারা খাতুনকে দেখতে বাড়ি এসেছিল সে।
তার বাবা আব্দুল হামিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে তার মাকে জানিয়ে নিজের মোটর সাইকেলে খুলনায় যায় সবুজ। পরদিন ফিরে আসার কথাও বলেছিল সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করেন (যার নং ২৯৩)। ওই রাতেই খুলনার ফারাজিপাড়া মোড়ে পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো একটি ত্রিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা হাসপাতাল মর্গে।
সবুজের বাবা আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার খোঁজ জানতে খুলনায় ফোন করা হলে সাদি নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে জানায় ‘সবুজ মোস্তফা মামার সাথে যশোর গেছে’। এর পর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সবুজের বাবা আবদুল হামিদ আরও জানান, তার ছেলের সাথে খুলনায় ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। এই মামলায় কিছুদিন আগে তার ছেলে জেলও খেটেছিল। তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে খুলনায় কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, সবুজের লাশ নিতে খুলনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *