নগরীতে ৫০ বছরের পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে নতুন স্থাপনা, দুর্ঘটনার শঙ্কা
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় ৫০ বছরের পুরানো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তৃতীয় তলায় নতুন স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে যে কোন সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশিসহ এলাকাবাসী। মহানগরীর মুসলমান পাড়া বাঁশতলার ১৬ নং হোল্ডিংয়ের পুরাতন ভবনে এ নতুন স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী ইতিমধ্যে বিষয়টি অবহিত করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চলতি বছরের ২৪ জুন ও ১২ মে), খুলনা সিটি কর্পোরেশন (২ মে), খুলনা জেলা প্রশাসন (২৯ এপ্রিল), ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (২৯ এপ্রিল) বরাবর স্থাপনা অপসারণে আবেদন করেছেন। আবেদনকারীরা হলেন প্রতিবেশী কালু মোলা ও হাসিনুর বেগম। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো থেকে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ কিংবা সুফল পাননি তারা। যদিও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৫ মে বাড়ির মালিক রাশিদা আফরোজ জলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু তা আমলে না নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
আবেদনে তারা উলেখ করেছেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী ১৭/১, মুসলমান পাড়া বাঁশতলা, জব্বার সাহেবের গলির একজন বাসিন্দা। আমার বাড়ীর সামনের বাসিন্দা মাসনুন নাহার বিগত ৫০ বৎসর আগে চুন সুড়কির বিল্ডিং নির্মান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে জমি ও বিন্ডিং ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে কিছু আর্থিক ঋণ গ্রহণ করেন। তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংকের মাধ্যমে ২৭/০৫/১৯৯৯ ইং সালে মো.আলী হোসেন উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংটি ক্রয় করেন। আলী হোসেন বাড়ীটি ক্রয় করে সেখানে বসবাস করে আসছে। কিছুদিন পরে উক্ত ভবনের সানসেড ভেঙ্গে পড়ায় প্রতিবেশীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত ভবনের সানসেড ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিল্ডিং এর পিছনে পরিকল্পনা ছাড়াই ৫০ বৎসর পূর্বের চারি দিয়ে নির্মিত একটি ট্যাংকি রয়েছে যা থেকে নিকৃষ্ট দুর্গন্ধ হওয়ায় ট্যাংকি ও উক্ত বিল্ডিংয়ের আংশিক কিছু অংশ রিপিয়ারিং করে এবং পরবর্তীতে তাহার স্ত্রী ২৮/১১/২০০৯ ইং সালে রশিদা আফরোজ জলির নামে হেবা করে দেন। বর্তমানে উক্ত ভবনের মালিক মিসেস রশিদা আফরোজ জলি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং পরিকল্পনা ছাড়াই পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের এক তলা আংশিক অংশের সামনে থেকে তার দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ফলে পার্শ্ববর্তী লোকজনদের তথা রাস্তার পথিকদের জন্য স্থানটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় ভবনটি ভেঙ্গে পথচারী বা প্রতিবেশীর জানমালের ক্ষতি হতে পারে। ভবনের মালিককে বহুবার মৌখিকভাবে বললেও তিনি আমাদের কথায় কর্তপাত করেন নাই। রশিদা আফরোজ জলির কোন ধরনের প্ল্যান ছাড়াই ৫০ বৎসরের পূর্বের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের একতলার আংশিক অংশের সামনে যে নতুন স্থাপনা করছে তার অপসরণ করে ও পাশ্ববর্তী লোকজন এবং পথচারীদের জানমালের ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা থেকে রক্ষার প্রয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানাই।