নগরীতে শাহিন বাহিনীর আতঙ্কে গৃহবন্দি ব্যবসায়ীর পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর অভিযোগ
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় বড় ভাই শাহিন বাহিনীর চাঁদাদাবিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বাহিনীর লোকজন প্রায় মহানগরীর বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরবে চাঁদাবাজি করছেন। বাহিনীটির আতঙ্কে এক ব্যবসায়ী ও তার পরিবার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান গৃহবন্দি হয়ে পড়া ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স¤প্রতি সময়ে মহানগরীতে বড় ভাই শাহীন নামের একজন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের আবির্ভাব ঘটেছে। নগরীর বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরব চাঁদাবাজিতে নেমেছে তিনিসহ তার ক্যাডার বাহিনী। যার শিকার আমি নিজেও।
তিনি আরও বলেন, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি শাহিন গ্র“পকে তিন দফায় ৬৪ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। গত পহেলা আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শাহীন আবারও নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে তার আড্ডাস্থলে আমাকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করেন। সুলতান ভল্কানাইজিং টায়ারের দোকানের ভেতরে নিয়ে আমার কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে সেখান থেকে আমাকে আবার হোটেল রাধূনী হোটেলের দোতলায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার ভিতরে টাকা না দিলে আমি ও আমার সন্তানদের গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায় আমার কাছে থাকা একটি ফাইল নিয়ে যায়। যাতে জমি-জমার গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও চেকের মুড়ি বই ছিলো। আমি একা থাকায় সেখানে কোন প্রকার উচ্চবাক্য না করে চলে আসি। এরপর বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে আলোচনা করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করি। পহেলা আগস্ট সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এই বাহিনীর প্রধান বড় ভাই শাহীনসহ ওই গ্র“পের ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি (নং-০৩)। মামলার ২নং আসামী মাসুমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার অন্য আসামীরা মামলা তুলে না নিলে আমার ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ক্ষতি সাধনসহ শান্তিতে সববাস করতে দেবেনা ও আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। আমার সন্তানের স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আমি ৩ আগস্ট রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়রি করি। শাহিন একাধিক মামলার আসামীও।
আমার মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এ নিরব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এরা ডেকে নিয়ে নানা ভাবে ভয়ভীতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খুলছেন না। তিনি প্রশাসনের কাছে তার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।