নগরীতে রোহিঙ্গা সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
রোহিঙ্গা (ছেলে ধরা) আতঙ্গে ভুগছে খানজাহান আলী, দৌলতপুর এবং আড়ংঘাটা থানা এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের দাবী মায়ানমারের রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এ সকল থানা এলাকার বাসাবাড়ীতে ঢুকে অজ্ঞান করে লুটপাটের এবং ছোটছোট ছেলে-মেয়েদেরকে মুখে স্পেরে করে অজ্ঞান করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এ সকল কথার সত্যতা না মিললে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা সাধারণ মানুষের মাঝে রোহিঙ্গা আতঙ্গ বিরাজ করছে। সাধরণ মানুষকে সচেতনতায় এলাকায় মাইকিং করেছে খানজাহান আলী থানা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। পুলিশ বলছে জনতার হাতে আটককৃত কেহ রোহিঙ্গা নয় তবে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তিকে থানা পুলিশের কাছে সোপার্দ করা আহবান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে যোগিপোল ভাঙ্গা মসজিদের সামনে থেকে স্থানিয় জনতা রোহিঙ্গা সন্দেহে মোঃ ফরিদ নামের এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। একই দিন সকাল ১০টায় যাব্দিপুর বৌ-বাজার এলাকা থেকে জনতা রাশিদা বেগম (৫০) নামের এক মহিলাকে রোহিঙ্গা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেন স্থানিয় জনতা। বেলা ১২টায় মীরেরডাঙ্গা পেট্রোলিয়ামের সামনে থেকে দেবদাস (৪২) নামের এক ব্যাক্তিকে রোহিঙ্গা জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করা খানজাহান আলী থানার এস আই বিধান চন্দ সানা বলেন, স্থানীয় জনতা রোহিঙ্গা সন্দেহে চার জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ আটককৃতদেরকে যাচাই-বাছাই শেষে রোহিঙ্গা নয় নিশ্চিত জেনে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন ঘটনা যাই ঘটুক এলাকাবাসী রোহিঙ্গা সন্দেহে আতঙ্গে ভুগছে। তিনি কোন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহ জনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত কররা জন্য আহবান করেন।
অপরদিকে দৌলতপুর থানা এলাকার বনিকপাড়া (কান্দর) এলাকার সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে রিজভী বলেন, এই এলাকায় সোমবার দুপুরে নুর ইসলামের বাসায় ঢুকে তার মাকে নাকে ¯েপ্ররে করতে গেলে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে এক রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। এছাড়া কালিবাড়ীতে এক শিশুকে ধরে নেওয়া সময় স্থানীয় জনতা একজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, সকলের মাঝে এখন রোহিঙ্গা আতঙ্গ বিরাজ করছে। তিনি বলেন রোহিঙ্গা আটকের কোন সংবাদ তার জানা নাই। তবে তিনি সকলকে সজাগ থেকে সন্দেহ জনক কাউকে দেখলে পুলিশকে খবর দিতে বলেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে খানজাহান আলী থানা সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে থানা এলাকায় এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করতে দেখা যায়। এ সময় তারা অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদেরকে একাএকা বাহিরে না ছাড়ার জন্য আহবান করেন।