নগরীতে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২০
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পÐ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের লাঠিচার্জে নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের মাথা ফেটে গেছে। জখম অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মাথায় সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তীব্র নিন্দা জানায় বিএনপি। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় নগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি শুরুর আগে খুলনা সদর থানার একজন কর্মকর্তা এসে অনুমতি না থাকায় কর্মসূচি পালন করা যাবে না বলে জানান। এ নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতÐার এক পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। জেলা বিএনপির আহŸায়ক আমির এজাজ খানের সভাপতিত্বে কর্মসূচি শুরু হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুর হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বক্তব্য শুরু করা মাত্র খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এসে মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জে ফখরুল আলম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি গুরুতর আহত হন।
আহত অন্যরা হলেন আমির এজাজ খান, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু মুসা গাজী, হেমায়েত হোসেন, মিসেস সেতারা, নিঘাত সীমা, মামসুন নাহার লিপি, আমিন আহমেদ, ফিরোজ খান, খান জিয়াউর রহমান জীবনসহ আরও অনেকে। এক পর্যায়ে বিএনপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কে ডি ঘোষ রোড, হেলাতলা ও বড়বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তাঘাট। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাকিদের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। অপরদিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তবে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মানববন্ধন কর্মসূচির কোনো অনুমতি ছিল না। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।