নগরীতে প্রেমের প্রলোভনে কিশোরীকে গণধর্ষণ, মামলা দায়ের, আটক ৪
দ: প্রতিবেদক
নগরীতে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গণধর্ষণের অভিযোগে ৯ জনের নাম উলেখ এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামী করে কিশোরীর বোন বাদী হয়ে গতকাল রবিবার মামলা করেছেন। এ ঘটনায় মামলার এজারভুক্ত চার আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- সোনাডাঙ্গা থানাধীন বসুপাড়া এতিমখানা মোড়ের শেখ হোসেন আলীর ছেলে শেখ শাহাদাৎ (২০), পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাব্বি হাসান @ পরশ (২০), একই এলাকার সেকেন্দার মোলার ছেলে মোঃ মাহামুদ হাসান @ আকাশ ও বিহারী কলোনীর সুলতান আহমেদ এর ছেলে আহম্মেদ নুরুন্নবী (১৮)।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে নগরীর বিহারী কলোনী এলাকার আকুব্বার বিশ্বাস ওরফে আকুব্বার কসাইয়ের ছেলে শান্ত বিশ্বাস (২৩) মেয়েটিকে সাহেবের কবর খানা এলাকায় আসতে বলে। সেখানে আসার পর তাকে কৌশলে তাকে বিহারী কলোনীতে তার বন্ধু নুরুন্নবীর ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭/৮ জন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কান্নাকাটিতে আশেপাশের লোকজন সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডেকিলে কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। পরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহাদাৎ, পরশ, আকাশ ও নুরুন্নবীকে আটক করে। এ সময় ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলেও ধারণ করা হয় বলে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, রবিবার সকালে হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির জানান, মেয়েটির নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ৮টি টিম আসামিদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে রয়েছে। আসামিদের কাউকে ছাড়া হবে না।