নগরীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় নাজমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন পলীমঙ্গল এলাকার চশমার মোড়ের ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মো. সাগর (২৮) কে আটক করা হয়েছে। ওই দম্পতির একটি ছয় মাসের মেয়ে রয়েছে। নিহত গৃহবধূ নগরীর রেলওয়ে ঘাট কলোনী এলাকার আঃ মান্নান হাওলাদারের মেয়ে। আটক মো. সাগর বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নূরুল হক মোল্যার ছেলে।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, ‘স্বামীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নিহতের স্বামী সাগর মোবাইল মেরামতের কাজ করেন। অভাবের সংস্কারের মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া হতো। হয়ত অভাবের কারণেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি মেয়ের পরিবার অভিযোগ দেন, তাহলে নেওয়া হবে।’
এদিকে নিহতের পিতা মান্নান হাওলাদার জানান, ‘দুই বছর আগে সাগর ও নাজমার বিয়ে হয়। মাঝে মধ্যে যৌতুক হিসেবে ঘরের আসবাবপত্র দাবি করতো। কিন্তু আমি দিতে পারিনি। হঠাৎ করে আমার মেয়ের মৃত্যু রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তিনি দাবি করেন- ৬ মাসের মেয়ে রেখে কোন মা-ই আত্মহত্যা করবে না। সাগরই তার মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে তিনি জানান।’