নগরীতে ইজিবাইক গ্যারেজ ম্যানেজারের লাশ উদ্ধার
দ. প্রতিবেদক
নগরীর লবণচরা থানাধীন মোহাম্মাদ নগর বাবলু সড়কে ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে ম্যানেজার মোঃ শামীম মোড়ল (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই গ্যারেজের মালিকসহ ১২ জন ড্রাইভারকে আটক করেছে। নিহত শামীম নগরীর শান্তিনগর দারোগার ভিটার মোঃ মুজিবর মোড়লের ছোট ছেলে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওই এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামীম গ্যারেজ মালিক সোহেলের অধীনে গত দু’বছর যাবত চাকরি করেন। নতুন গ্যারেজের বয়স দু’মাস। গত দু’মাস ধরে বাবলু সড়কের এ ইজিবাইক চার্জিং পয়েন্ট ও মেসার্স আর আর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিল শামীম। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি। তবে গত রাতে তার নিকট নগদ ২৩ হাজার টাকাও ছিল বলে এলাকাবাসী জানান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একজন ইজিবাইক চালক তার বাইকটি নিতে চার্জিং পয়েন্টে আসে। শামীমকে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তার। শামীমের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। এরপর গ্যারেজ মালিক ও নিহতের পিতাকে খবর দেওয়া হয়। গ্যারেজ মালিক পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য খবর দেয়। পুলিশ তার সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে থানায় প্রেরণ করে। নিহতের পিতা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, সকাল ৬টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময়ে তার গলার হাড়টি ভেঙ্গে যায়। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘাতকরা নিহতের খুব কাছের। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানোর আগে ইজিবাইক গ্যারেজের সকল সিসি ক্যামেরা ও মনিটর ভেঙ্গে ফেলা হয়। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজ মালিক মোঃ সোহেলসহ ১২ জন ড্রাইভারকে থানায় আনা হয়েছে।
নিহত শামীমের বাবা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় ছেলের সাথে। ছেলে যে এভাবে খুন হবে তা তিনি কল্পনা করতে পারেনি। কারোর সাথে তার ছেলের কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। সহজ সরলভাবে জীবনযাপন করত সে। তবে খুনি যে হোক তার বিচার দাবি করেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়