ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিককে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা, চালক গ্রেফতার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বাসের ভেতর এক পোশাক শ্রমিক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গ্রেফতার চালকের মুখে, হাতে ও গলায় নখের আঁচড় রয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি ঝোপের মধ্য থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফিরোজ ওরফে সোহেল (৩০) রাজবাড়ীর পাংশা থানার আমানত খানের ছেলে। ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থেকে কালামপুর এলাকার প্রতীক সিরামিক্স নামে একটি কারখানায় শ্রমিকদের বহনকারী বাসের চালক তিনি। নিহত ১৯ বছর বয়সী তরুণীর বাড়ি ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।
কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই আবু সাঈদ প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, শুক্রবার ভোরে ওই তরুণীকে তার মা বাড়ির পাশ থেকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন কারখানায় যাওয়ার জন্য। সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়ি না ফিরলে পরিবার খোঁজ করতে যায়। রাতেই স্বজনরা কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
তার গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে বাসের ভেতর ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক রাসেল মোল্লা বলেন, তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া তার কামিজ ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আগে রাত ১০টার দিকে পরিবার ধামরাই থানায় জিডি করলে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় বলে তিনি জানান।
ওসি দীপক চন্দ্র বলেন, হত্যাকারীসহ বাসটি আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটক বাসচালকের মুখে, হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।