November 29, 2024
জাতীয়

ধর্ষণে সন্দেহভাজনের গুলিবিদ্ধ লাশ আনোয়ারার পাহাড়ে

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলছেন, ‘সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের গোলাগুলির’ খবর পেয়ে শনিবার সকালে চায়নিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের পাহাড় থেকে তারা লাশটি উদ্ধার করেন।

নিহত আব্দুর নূরের (২৫) বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওসি বলেন, তিন দিন আগে কোরিয়ান ইপিজেডের এক কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন নূর। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজন শনিবার আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছে, সেখানেও নূরের নাম এসেছিল।

‘সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধে’ নূর নিহত হয়ে থাকতে পারে মন্তব্য করে ওসি বলেন, গোলাগুলির খবর শুনে আমরা সেখানে গিয়ে লাশ পাই। লাশের পাশে একটি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়। পরে খোঁজ নিয়ে তার পরিচয় জানতে পারি।

আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেডের কোরিয়ান শু ফ্যাক্টরির শ্রমিক এক তরুণী গত বুধবার রাতে কাজ শেষে অটোরিকশায় করে চন্দনাইশে তার বাড়িতে ফেরার সময় ধর্ষণের শিকার হন।

পুলিশকে তিনি বলেন, ওই অটোরিকশার চালকসহ চারজন স্থানীয় কালার বিবির দীঘি সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে তাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে আবার আনোয়ারার চাতরি চৌমুহনী এলাকায় নিয়ে তাকে সড়কের পাশে ফেলে যায়। ওই তরুণী এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর শুক্রবার রাতে চাতরী চৌমুহনি এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক মামুন (২০) ও তার সহযোগী হেলাল উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তারা চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক বিজন বড়ুয়া জানান।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *