ধর্ষণের শিকার ঋষি সম্প্রদায়ের এক নারী লোকলজ্জায় সমাজে বের হতে পারছেন না
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ধর্ষণের শিকার ঋষি স¤প্রদায়ের এক নারী লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। ভীত সন্ত্রস্ত এ নারী আইনের আশ্রয়ও নিতেও সাহস পাচ্ছেন না। ধর্ষিতার স্বামী জীবিকার তাগিদে ভ্যান চালাতে যেতেও ভয় পাচ্ছে। প্রতিবন্ধী এক শিশুকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটোচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারটি। ঘটনাটি জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের শোলগাতিয়া গ্রামের।
শোলগাতিয়া গ্রামের দাশপাড়ায় ধর্ষিতা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে শোলগাতিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর বিশ্বাসের (আলতাফ চৌকিদারের ছোটভাই) মাছের ঘেরে কাজ করতে যাই। সেখানে কাজ করার সময় গফুর বিশ্বাস কাজ রেখে ঘেরের বাসায় আসতে বলে। সেখানে আসলে আরও তিনজনকে দেখতে পাই। ওই তিনজন হচ্ছে দেবু সরদার, জসিম গাজী ও শাহিন সরদার। তারা আমাকে জীবননাশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময়ে এক ধর্ষক মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। তারা আমাকে বলে এ কথা কাউকে বললে এই ভিডিও সবাইকে দেখিয়ে দেব।
নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী জানান, এই ঘটনা ঘটার পর আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমার স্ত্রী শ্রমিকের কাজ করে আর আমি ভ্যান চালাই। কিন্তু লজ্জায় ভ্যান নিয়ে রাস্তায় যেতে পারছি না।
এ বিষয়ে আব্দুল গফুর বিশ্বাস বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সাজানো। প্রতিপক্ষ একজনদের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে ওই নারী আমার ঘেরে কাজে এসেছিল। এরপর আর আসেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: হারুন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তারা ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।
রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন বলেন, ঋষি স¤প্রদায়ের কোন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন কোন খবর আমার জানা নেই। তিনি বলেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যদি সত্যি হয় তাহলে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সহযোগিতা করা হবে।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম জানান, এমন খবর তার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানান।