November 27, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

ধর্ষণের প্রতিবাদে খুবি শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

খুবি প্রতিনিধি
দেশজুড়ে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) মূল ফটকের সামনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দেশের এ চলমান ধর্ষণ মহামরীতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের স্নাতোকোত্তর এর শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, আজকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় বা বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ধর্ষকেরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যতদিন না ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা না হবে ততদিন এর প্রতিকার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত রেজওয়ানা তিশা আক্ষেপ করে বলেন, আজকে আমার মত মেয়েরা যখন ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন কমপক্ষে বিশবার ভাবতে হয় যে আমার জন্য কি কি মন্তব্য আসতে পারে, চারিদিকে যেন কতৃত্বের চোখ। এর থেকে বেরিয়ে এসে শুধু মুখে নয়, বাস্তবে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে এর নিস্তার সম্ভব।
শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষকেরাও। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মাহদী-আল মুহতাসিম নিবিড় বলেন, আমরা আমাদের পশুত্বকে কেনো দমন করতে পারছি না? উন্নয়ন হচ্ছে জিডিপি বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু আত্মার উন্নয়ন হচ্ছে না। আত্মার উন্নয়ন ব্যতীত এই পশুত্বকে দমন করা সম্ভব নয়। আমরা শিশু বেলায় মিনা কার্টুন দেখেছি, সেখানে শেখার অনেক কিছুই ছিলো। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম দেখে টিকটক। এ থেকে কি শিখছে তারা?
বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক শামীম রেজা বলেন, আমাদের এই স্বাধীন দেশে আমার বোন গণপরিবহনে নিরাপদ নয়। আজকে শিক্ষার্থীদের সাথে কোন মুখ নিয়ে দাড়িয়েছি জানি না। আমাদের দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে এর থেকে বের হতে না পারলে এই মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা সারাদেশে ধর্ষণ ও সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে আরেক দফা প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *