‘ধর্ষক’ ইমাম রিমান্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জ্বিনের ভয় দেখিয়ে ঝাড়ফুঁকের নামে নারী-শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকার দক্ষিণখানের ইমাম ইদ্রিস আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ইদ্রিসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইদ্রিস আহাম্মেদের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়েছে, দক্ষিণখানের একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি স্থানীয় একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন তিনি। গত ১৮ বছর ধরে স্থানীয় অনেকের অসুস্থতায় তিনি ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবজ দিতেন। ঝাড়ফুঁক নেওয়াদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে ঝাড়ফুঁক ও জ্বিনের ভয় দেখিয়ে সুন্দরী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। বাদ যায়নি মাদরাসা ও মসজিদে আসা শিশুরাও।
স¤প্রতি ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ার পর রোববার মধ্যরাতে দক্ষিণখানের সৈয়দনগর এলাকা থেকে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার মোবাইল জব্দ করা হয়। ওই মোবাইলে ধর্ষণ ও বলাৎকারের অনেক ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারওয়ার বিন কাশেম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৮ বছর ধরে দক্ষিণখানের স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি পাশের মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন ইদ্রিস। জ্বিনের ভয় দেখিয়ে বিধবা ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করতেন এই ধর্ষক। মাদ্রাসায় পড়তে আসা ১০ থেকে ১২ বছরের অন্তত ১২ জন শিশুকে সে বলাৎকার করে।
তিনি জানান, এই ইমাম মসজিদের একটি বিশেষ কক্ষে ঘুমাতেন। সেখানেই তিনি ধর্ষণসহ সব অপকর্ম করতেন। সেগুলো খাদেমদের দিয়ে ভিডিওধারণ করতেন। স¤প্রতি এক নারীর অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব তথ্য বের হয়ে আসে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।