দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-চেক চুক্তির খসড়া অনুমোদন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাংলাদেশ ও চেক রিপাবলিকের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমাবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই খসড়া অনুমোদন করা হয়।
পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এক কাজে যেন দুই দেশে কর দেওয়া না লাগে সেজন্য চুক্তি হবে। মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন দিয়েছে। যে রাষ্ট্রের মুনাফা হবে, কেবল সেই রাষ্ট্রেই কর আদায় হবে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক পরিবহনখাতে বিমান বা জাহাজ পরিচালনা বাবদ মুনাফা কেবল সেই রাষ্ট্রে করযোগ্য হবে, যে রাষ্ট্রে ওই উদ্যোগের কার্যকর ব্যবস্থাপনা হবে। এক্ষেত্রে অপর রাষ্ট্রে অনুরূপ মুনাফার ওপর যে কর ধার্য হবে তার ৫০ শতাংশ হ্রাস করা যাবে।
এ চুক্তির আওতায় এক রাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি অন্য রাষ্ট্রের কোনো কোম্পানিকে লভ্যাংশ দিলে ওই অর্থের ওপর ১০-১৫ শতাংশ কর আরোপ করা যাবে। পেটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটিতে (পিসিটি) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওয়াইপো (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন) বা কপিরাইটের নিয়ম মেনে চলে এমন দেশগুলোর চুক্তি হলো পিসিটি। ভারত ও শ্রীলংকাসহ বিশ্বের ১৫২টি দেশ পিটিসিতে সই করেছে।
আমরা এখনো সদস্য হইনি। সদস্যভুক্তির জন্য মন্ত্রিসভা অনুমতি দিয়েছে। সদস্য হলে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোতে নিবন্ধনের জন্য ফি দেওয়া অনেক কমে যাবে। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেসিক ফি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন সময়ে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সাতটি বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৭২টি। এর মধ্যে ৫৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন পেয়েছে। এ সময়ে সংসদে ৬টি আইন পাস হয়েছে।