দ্বিতীয় সেশনে শুধুই হতাশা
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের একমাত্র টেস্ট শুরু হয়েছে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা ৬৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯১ রান করেছে।
প্রথম সেশনে ৩ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশন শেষ করলো হতাশায়। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে কোনও উইকেট পাননি বোলাররা। লাঞ্চের পর ক্রিজে নেমে রহমত শাহর সঙ্গে পুরো সেশন কাটিয়ে দিয়েছেন আসগর আফগান। দুজনের ১১৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এই সেশনের পুরোটা সফরকারীদের। রহমত ৯৭ ও আসগর ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন।
রহমত-আসগরের ব্যাটে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ
৭৭ রানে আফগানিস্তানের তৃতীয় উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। রহমত শাহর সঙ্গে দ্বিতীয় সেশনে ক্রিজে নামেন আসগর আফগান। দুজনে বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ফিফটি করে। একশ ছাড়ানো জুটিতে তারা স্বাগতিকদের অস্বস্তিতে রাখে। ৬৫তম ওভারে আসগরের বিরুদ্ধে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু আফগান ব্যাটসম্যান রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ৪২ রানে।
বৃষ্টি শেষে আবার খেলা শুরু
বৃষ্টিতে খেলা ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। এর দুই বল পরই হাফসেঞ্চুরি করেন রহমত শাহ। ৪২তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় বলে একটি রান নিয়ে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি ৮৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে বৃষ্টির হানা
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই নেমেছে বৃষ্টি। তৃতীয় উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করা আফগানিস্তানের হয়ে ব্যাট করছিলেন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। ৪৯ রানে রহমত ও আসগর ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মাহমুদউল্লাহর উইকেট উদযাপনে শেষ প্রথম সেশন
নাঈম হাসানের বদলে বল হাতে নিয়ে জাদু দেখান মাহমুদউল্লাহ। নিজের চতুর্থ বলেই উইকেট পেয়েছেন তিনি। হাসমতউল্লাহ শহীদীকে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান এই স্পিনার। ৩২ বলে ১৪ রান করেন আফগান ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহর উইকেট উদযাপনে শেষ হয়েছে প্রথম সেশনের খেলা। এই জুটি ছিল ২৯ রানের। ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রহমত শাহ। ৩২.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৭ রানে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে আফগানিস্তান।
তাইজুলের কাছে আরেক ওপেনারের বিদায়
আফগানিস্তান ওপেনার ইহসানউল্লাহকে ফিরিয়ে ১০০ টেস্ট উইকেট পান তাইজুল ইসলাম। এবার আরও এক ওপেনার বাংলাদেশি স্পিনারের শিকার হলেন। ৬৯ বলে ২১ রান করে লং অফে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন ইব্রাহিম জাদরান। রহমত শাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৯ রানের।
প্রথম আফগান উইকেট তাইজুলের
চট্টগ্রাম টেস্টের দলে কোনও পেসার রাখেনি বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন বেশ দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরান।
বাংলাদেশ চতুর্থ ও দশম ওভারে উইকেট পেতে পারতো। মিরাজের দুটি ওভারে প্রথমবার ইহসান ও সবশেষ ইব্রাহিমকে স্টাম্পিং করার সুযোগ তৈরি করেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু মুশফিকুর রহিম বল হাতে স্টাম্প ভাঙার আগে ব্যাটিং লাইনে পা রাখেন দুই ওপেনার। অবশেষে ১৩তম ওভারে এই প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙেন তাইজুল।
ইহসানকে ৯ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশি স্পিনার। ১৯ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। আফগান ওপেনারকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেটের মাইলফলকে তাইজুল। তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ২৫তম টেস্টে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুই দলই স্পিনকে মূল অস্ত্র বানিয়ে মাঠে নেমেছে। চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান।
ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও গাজী টিভি। এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের স্পিন শক্তি সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানকে নিয়ে। আর আফগানরাও লড়ছে চার স্পিনার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, জহির খান ও কায়েস আহমেদকে সঙ্গে করে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্পিন শক্তির জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে প্রথম দিনের খেলা।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান।
আফগানিস্তান দল: রশিদ খান (অধিনায়ক), ইহসানউল্লাহ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহীদী, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, আফসার জাজাই (উইকেটরক্ষক), ইয়ামিন আহমাদজাই, কায়েস আহমেদ, জহির খান।