দৌলতপুরে পুলিশের হাতে আটক ২ শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান ফেরতের দাবী
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান চলাচল নিষেধাজ্ঞার পর দৌলতপুর থানা পুলিশ প্রায় ২ শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান আটক করে থানা হেফাজতে রাখে। আড়ংঘাটা, গিলাতলা, যোগীপোল ইউনিয়ন এলাকায় প্রতিবন্ধি কাঁচামাল ব্যবসায়ী, অর্ধপঙ্গু চালকরা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে চলাচল করে, শুধু ভোরে কাচামাল, মাছের পোনা, পান এজাতীয় মালামাল দৌলতপুর পাইকারি বাজারে দিয়ে আবার গন্তব্য স্থানে ফিরে যায়।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানা পুলিশ প্রায় ২ শতাধিক ব্যাটারী চালিত গাড়ী প্রায় ২/৩ মাস যাবত আটক রাখায় উক্ত পরিবার গুলো মানবতার জীবন যাপন করছে। এছাড়া অধিকাংশ চালকরাই বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান ক্রয় করে। গাড়ীগুলো থানায় আটক থাকায় যেমন এনজিওদের চাপ এবং ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ফুলবাড়ীগেট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রমজান মিয়া প্রতিদিন ভোর বেলা দৌলতপুর থেকে পাইকারি মাল কিনতে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিতে হয়। যার কারণে গত ২ মাস আগে নিজের সুবিধার জন্য একটি এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন নিয়ে রিকশা ক্রয় করেন। গত ২৮ শে জানুয়ারি দৌলতপুর থানা পুলিশ মহসিন মোড় এলাকা থেকে রমজান মিয়ার কাচামাল বোঝাই রিকশাটি আটক করে দৌলতপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে মালামাল ছেড়ে দিয়ে রিকশাটি আটক করে।
রমজান মিয়া বলেন “এনজিও’র কাছ থেকে লোন নিয়ে গাড়ি কিনলাম সুবিধার জন্য, এখন সে সুবিধাটা তো দুরে থাক গাড়িটি আদৌ ফেরত পাবো কি না জানিনা ”। দৌলতপুর কাঁচা বাজারের আড়ৎদার মোসলেম মিয়া বলেন, খানজাহান আলী, খালিশপুর , দিঘলিয়া থানা এলাকার সকল ক্ষুদ্র কাচামাল ব্যবসায়িরা এখান থেকে পাইকারি কাাঁচামাল কিনে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক আহম্মেদ (পিপিএম) বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান আটক করা হয়েছে। তাদের নির্দেশ ছাড়া গাড়ীগুলো ফেরত দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এব্যপারে আটককৃত গাড়ীর চালকরা মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং সিটি এলাকায় গাড়ীগুলো না চালানোর মুচলেকা দিয়ে তাদের গাড়ী গুলো ফেরত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।