January 21, 2025
করোনাজাতীয়লেটেস্ট

দোকান-শপিংমলে ক্রেতা-বিক্রেতার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

 করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে রোজা ও ঈদ সামনে রেখো ১০ মে থেকে সীমিতভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে সারাদেশে ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক পরা।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মে) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, হাট-বাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

মাস্ক পরা ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সব বিক্রেতা, দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরতে হবে।

এজন্য প্রতিটি শপিংমল/বিপণিবিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার টাঙাতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা আলোচনা করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রয়োজন অনুযায়ী জোন ভাগ করে দেবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া আন্তঃজেলা,আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ/জনগণের চলাচল কঠোর চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ এক উপজেলার লোক অন্য উপজেলায় এবং এক এক জেলার লোক অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।

রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবে বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।

তবে জরুরি পরিষেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রফতানি সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিজ নিজ এলাকা/কর্মস্থলে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা/উপজেলা/বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *