দোকানে, রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ কমল
লকডাউনের মধ্যে রোজার সময় ঢাকা মহানগরীতে দোকান খোলা রাখার সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে; হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইফতার সামগ্রী বিক্রিরও অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার নিত্যপণ্যের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল এতদিন। এখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেসব দোকান খোলা রাখা যাবে।
“সম্মানিত নগরবাসীকে এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে হবে।”
তবে কাঁচা বাজার ও সুপার শপগুলো আগের মতই সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ওষুধের দোকান এবং জরুরি সেবাগুলো এই নির্দেশনার আওতায় পড়বে না বলে মাসুদুর রহমান জানান।
বিধিনিষেধের কারণে এবার রোজার প্রথম কয়েক দিন দোকানে ইফতারি বিক্রিরও সুযোগ ছিল না। সেখানেও এবার কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে।
ডিএমপি বলছে, নগরীর ‘প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁগুলো’ মঙ্গলবার থেকে ইফতারি তৈরি ও বিক্রি করতে পারবে। তবে কেউ ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারির পসরা সাজিয়ে প্রদর্শন বা কেনাবেচা করতে পারবেন না।
রেস্তোরাঁয় ইফতার সামগ্রী বিক্রির সময় ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রেস্তোরাঁগুলো ইফতারি বিক্রির অনুমতি পেলেও কেউ সেখানে বসে খেতে পারবে না।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, “ইফতারির সময় পর্যন্ত ইফতারি কেনা যাবে।”
‘প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁ’ বলতে ডিএমপি কী বোঝাচ্ছে জানতে চাইলে উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, “যেসব রেস্তোরাঁর স্থায়ী স্থাপনা আছে, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, সেগুলোকে আমরা প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁ বলছি। অর্থাৎ, অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান বসিয়ে ইফতারি বিক্রি করা যাবে না।”