দেড় বছর পিছিয়ে গেল ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
শেষ পর্যন্ত পিছিয়েই গেল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর। দেড় বছর পিছিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশে আসবে ইংলিশরা। সিরিজের ম্যাচ থাকছে আগের মতোই, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি
সিরিজটি খেলতে আগামী মাসে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে সোমবার খবর প্রকাশিত হয়, ইংলিশদের এই সফর পিছিয়ে যেতে পারে। পরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানান, ইংল্যান্ডের বোর্ডের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলমান। সেই আলোচনার ফল জানা গেল মঙ্গলবার দুপুরে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, ইসিবির সঙ্গে তাদের আলোচনায় সূচি পুননির্ধারিত হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে সিরিজটি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হওয়ায় এটির বাধ্যবাধকতা ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়োজনের। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজটির বাস্তবতা এখন বদলে গেল। এবার এই সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে, যা হতে পারত দুই দলের জন্যই দারুণ প্রস্তুতি। সেটি পিছিয়ে এখন চলে যাচ্ছে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও পরে। সিরিজের কার্যকারিতা তাই কমে গেল নিশ্চিতভাবেই।
সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় ইংলিশ ক্রিকেটাররা অংশ নিতে পারবেন আইপিএলে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, পুনরায় শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে খেলার জন্যই মূলত বাংলাদেশ সফরে অনীহা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের বোর্ড যদিও গত মে মাসে বলেছিল, আইপিএল নতুন সূচিতে হলে তারা নিজেদের ক্রিকেটারদের সেখানে খেলার অনুমতি দেবে না। তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে তারা সরে আসে বলে খবর সংবাদমাধ্যমের।
ভারতে কোভিডের প্রকোপে স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি অংশ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে সেখানেই।