দেড় বছর পর সৌদির প্রধান ২ মসজিদে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জুমা আদায়
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ হিসেবে পরিচিত মসজিদ আল হারাম এবং মসজিদে নববীতে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতায় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মতো প্রধান দুই মসজিদে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করলেন মুসুল্লিরা। সম্প্রতি এই দুই মসজিদে সামাজিক দূরত্বের বিধান তুলে নেওয়া হয়েছে। দেড় বছর পর এমন দৃশ্য দেখে মুসলিম বিশ্ব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদি আরবের এই দুই মসজিদ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই সেখানে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের কবলে পড়েন মুসল্লিরা। বিশেষ করে মক্কা ও মদিনার মানুষদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে।
বেসরকারি খাতের কর্মী ও পবিত্র নগরীর দীর্ঘদিনের বাসিন্দা আবদুল্লাহ মাহদি বলেন, মসজিদের পথে ফের হাঁটতে পারা একটি আশীর্বাদ। আমরা এখন পূর্ণ ধারণ ক্ষমতায় মসজিদের মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে পারছি। যদিও এখনো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক কিন্তু সেটা কোনো ব্যাপার নয়। মসজিদে সবাই এখন নামাজ আদায় করতে আসায় সবকিছু পুনরায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
এর আগে সৌদি আরবে করোনার বিধিনিষেধ ব্যাপকভাবে শিথিল করা হয়। রোববার (১৭ অক্টোবর) থেকে শিথিলতা কার্যকর হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, পূর্ণ ধারণ ক্ষমতায় ওই দুই মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে অন্যান্য স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়।
সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রেও মানতে হবে না কোনো বাধ্যবাধকতা। পরিবহন, রেস্তোরাঁ, সিনেমাসহ সব জায়গাই চলা যাবে স্বাধীনভাবে। পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা নিয়ে খোলা থাকবে কমিউনিটি সেন্টারগুলোও।
দেশটিতে ব্যাপক হারে টিকা কর্মসূচি চালানোর কারণে করোনা শনাক্তের হার এরই মধ্যে কমে এসেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। গত ১৫ অক্টোবর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘ ১৮ মাস পর করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেয়। তবে যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারাই কেবল এই সুবিধা পাবেন।