দেশে মাথাপিছু আয় মাসে ১৪৬২০ টাকা
করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (ডিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে করোনার প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমলেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
গড় আয় হয়েছে দুই হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরলে বার্ষিক আয় এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৪০ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে প্রত্যেকের মাসিক আয় ১৪ হাজার ৬২০ টাকা।
আগের অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার আয় বেড়েছে।
বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। মোট জনসংখ্যার ৮ কোটি ২৪ লাখ পুরুষ এবং নারী ৮ কোটি ২২ লাখ। এরা সবাই এখন ১৪ হাজার ৬২০ টাকা করে মাসিক আয় করেন। এর আগের বছরে প্রত্যেকের মাসিক আয় ছিল ১৩ হাজার ৫২২ টাকা। অর্থাৎ করোনাকালেও এক বছরের ব্যবধানে মাসিক আয় বেড়েছে এক হাজার ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের নয় মাসের সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে। বিদায়ী অর্থবছরের মার্চ মাসের হিসেবে এমনই চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএস-এর প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, স্থিরমূল্যে জিডিপির আকার ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। সেবাখাত থেকে এসেছে ৫৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা।
শিল্পখাত থেকে এসেছে ৩১ দশমিক ১৩ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। কৃষিখাত থেকে এসেছে ১৩ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা।
বিবিএস বলছে, করোনা ভাইরাস সংকটে প্রবৃদ্ধি কমলেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৯০৯ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল এবং মাথাপিছু আয় হয়েছিল এক হাজার ৬১০ ডলার। করোনা সংকটের কারণে হঠাৎ করেই জিডিপিতে ধাক্কা।