দেশে বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। সরকারি নির্দেশনা মেনে শুক্রবার থেকে এসব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে বলে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ জানান। তিনি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার করা যাবে না। ক্লিন ফিড মানে হল কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশে দেখাতে হলে ‘ক্লিন ফিড’ দেখাতে হবে।
কোয়াব সভাপতি বলেন, বিদেশি চ্যানেলে তো কম-বেশি বিজ্ঞাপন থাকেই, এর মধ্যে নাকি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো চলছে, বিদেশি চ্যানেল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেবল ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকাতেও সরকারের নির্দেশনা মানা হচ্ছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম মাল্টি চ্যানেল লিমিটেডের (সিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোয়াবের সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দিন মাসুদ।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে বিদেশি যেসব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চলে সেগুলো দেখানো থেকে বিরত রয়েছি। সরকারি আদেশ-নির্দেশ পালন করছি আমরা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঘোষণা দেন, ‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করলে আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সেদিন তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে দেশে কোনো অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলকে চালাতে দিতে পারি না। এরপর আইন প্রয়োগ করা হবে। ‘ক্লিন ফিড’ চলছে কিনা সেটি নিয়ে আমরা সারা দেশে এনফোর্সমেন্টে যাব।
সেই সময়সীমার শেষদিন বৃহস্পতিবার আবারও বিষয়টি মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী। সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সবাই আইন মানছে কি না তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকে দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কেবল অপারেটররা বলছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড না দিলে বিজ্ঞাপন কেটে বাদ দিয়ে সম্প্রচার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণে তারা চ্যানেলগুলো দেখানোই বন্ধ করে দিয়েছেন।
আনোয়ার পারভেজ বলেন, কেবল অপারেটিং শিল্পখাতে ৫ লক্ষাধিক লোক সম্পৃক্ত। এ শিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওটিটিসহ অন্য প্ল্যাটফর্মে কিন্তু সব চ্যানেল চলছে। এখন এটা যদি অন্য খাতে চলে যায় পথে বসবে কেবল অপারেটররা। সরকার যদি বিবেচনা করে তাহলে আমরা ইন্ড্রাস্ট্রিটা টিকিয়ে রাখতে পারব। সবার জন্য যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে সে বিষয়টা চাই আমরা। অন্যরা বিদেশি চ্যানেল চালাবে, আর আমরা কেবল অপারেটররা পারব না- তা বৈষম্য হবে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়