দেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য বিচারক ১ জন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য একজন বিচারক রয়েছেন বলে সংসদে তথ্য দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। জনসংখ্যার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য এদেশে মাত্র ১ জন বিচারক রয়েছেন। যেখানে ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন, ইংল্যান্ডে ২০ হাজার জনে একজন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইতালিতে ১০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের আপিল বিভাগের ৭ জন বিচারকের হাতে ২২ হাজার ৫৯৬টি, হাই কোর্ট বিভাগের ৯৭ জন বিচারকের হাতে চার লাখ ৯০ হাজার ৮০০টি এবং অধঃস্তন আদালতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারকের হাতে ৩১ লাখ ২৭ হাজার ২৪৩টি মামলা রয়েছে এখন।
ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১০ বছরে (২০১০-২০১৯) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৩০ হাজার ৩০১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে পিএসসি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৬৭ হাজার ২০৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন জানান, জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে ‘প্রশাসনিক কার্যক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষায়িত পদে এবং যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল সংকট রয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত সামরিক/অসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, দেশে বর্তমানে ১৫৩ জন নারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ বিচরণ ও প্রজননের জন্য সরকার বঙ্গোপসাগরের ৬৯৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন রিজার্ভ ঘোষণা করেছে। ওই এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নৌবাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারির প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশ মৎস্য চাষ উপযোগী সরকারি জলাশয়ের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৮৩১টি। এসব জলাশয়ের মোট আয়তন তিন লাখ ৮৪ লাখ ১২৪ দশমিক ৫৬ হেক্টর।