দেশে গত ১০ দিনে আক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার, মোট ৮২৩৮
দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৪ এপ্রিল একদিনে ২০৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে এক হাজার ছাড়ায়।
প্রথম এক হাজার শনাক্ত হতে লেগেছে ৩৮ দিন। এরপর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিনে এরসঙ্গে আরও এক হাজার যোগ হয়। পরের তিনদিনে নতুন করে আরও এক হাজার রোগী শনাক্ত হয়। অর্থাৎ ৪৫ দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮২ জন। তার পরের পাঁচদিনে আরও ২ হাজার শনাক্ত হয়ে ৫০ দিনে এর সংখ্যা ৫ হাজারে দাঁড়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫৭১ জন শনাক্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িছে ৮ হাজার ২৩৮ জনে। এ নিয়ে ৫৫ দিনে আক্রান্ত সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই হিসাবে গত ১০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
শুক্রবার (১ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩১ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৮ টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৫৭৩ টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৯ টি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন ঢাকার ভেতরে ও একজন ঢাকার বাইরের। একজন পুরুষ ও একজন নারী। বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৭৫ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৫২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৩৮১ জন।
সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভেতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছে ৩৪১টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২ টি।