দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে : শেখ তন্ময় এমপি
দ. প্রতিবেদক
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় বলেছেন, দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামীতেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ তাদের ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র পুত্র শেখ তন্ময়। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, মানেই ছাত্রলীগের ইতিহাস। স্বাধীনতার আগ থেকে এখন পর্যন্ত সকল আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। সুতরাং ছাত্রলীগের ইতিহাস বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস পরিমাপ করা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ হলো নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম। যারা এখন ছাত্রলীগ করবে তারাই আগামীতে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে। এজন্য সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের ছেলে-মেয়েদের ছাত্রলীগে নিয়ে আসতে হবে। তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।’
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার। সভা পরিচালনা করেন নগর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। আরও বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, রফিকুর রহমান রিপন, আলী আকবর টিপু, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, অসিত বরণ বিশ্বাস, সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. আবু হানিফ, মুসফিকুর রহমান সাগর প্রমুখ।
সভা শেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এর আগে সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রয়াত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভার শুরুতে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাদ যোহর শঙ্কমার্কেটস্থ আজমীরি জামে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ২টায় দলীয় কার্যালয়ে আসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিকাল ৩টায় কোরআন তেলাওতের মাধ্যমে আলোচনা সভার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ