দেশের জন্য শতভাগ দিয়ে খেলবে ক্রিকেটাররা: ডোমিঙ্গো
প্রথমে শ্রীলঙ্কা, তারপর ইংল্যান্ড এবং সবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ- তিন খেলার সবগুলোতে হার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জিততে জিততে হেরে যাওয়া, জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারা। সেই না পারা অবশ্যই ব্যর্থতার, গ্লানির।
প্রথম ইনিংসে ১৭১ রান করে এবারের বিশ্বকাপে হারেনি কোন দল। শুধু বাংলাদেশই পারেনি সেই পুঁজিকে জয়সূচক পুঁজিতে রুপান্তরিত করতে। যা অবশ্যই হতাশার। আর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পরাজয়টা অন্যরকম আফসোসের। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৩ রান। অথচ সেই সামান্য কটা রান করতে না পারার বেদনায় দগ্ধ হতে হয়েছে।
যেখানে পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকান উইলোবাজরা শেষ দিকে হাত খুলে বিগ হিট নিয়ে কঠিন হিসেবকে সহজ করে জিতে গেছে। সেখানে বাংলাদেশ প্রথমে বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ড আর মূলপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শেষ ওভারে গিয়ে যথাক্রমে ৬ ও ৩ রানের হারের আক্ষেপে মাঠ ছেড়েছে।
এই ব্যর্থতায় খুব স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার ঝড় বইছে চারিদিকে। বোর্ড সভাপতি, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্র সমালোচনা। সে সমালোচনার ঝড় সহ্য করতে না পেরে পাল্টা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সিনিয়র প্লেয়ার মুশফিকুর রহিম।
তারাও পাল্টা কথাবার্তা বলেছেন। তাতে করে একটা উত্তেজক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। সব মিলে খানিক অস্থিরতা এসে গ্রাস করেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইনজুুরি। নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর মূল চালিকাশক্তি সাকিব ইনজুরিতে।
এর মধ্যে সাকিব আর সাইফউদ্দিন পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়েছেন। সোহানও মঙ্গলবার দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। সব মিলে অস্থির ও গুমোট টাইগার শিবির। আসলে কেমন দলের ভেতরকার অবস্থা? দেশে কোটি ভক্ত-সমর্থক তা জানতে উন্মুখ।
হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আজ সোমবার দলের ভেতরের খবর জানিয়েছেন। তিনি মিডিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন, দলের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা নেই। সব শান্ত-স্থিতিশীল আছে। আর তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পরাজয়ের পর নিজেরা কথাবার্তা বলেছেন।
ক্রিকেটাররা জেনে গেছেন তাদের বিদায়ঘণ্টা প্রায় বেজে গেছে। তারা দেশবাসী তথা ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। তারপরও টাইগার হেড কোচের দাবি, ক্রিকেটাররা মুখিয়ে আছেন ভাল খেলতে এবং মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শতভাগ উজার করে নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
তাই ডোমিঙ্গোর মুখে এমন কথা, ‘এখন পুরো দল খুব শান্ত। আজকে (সোমবার) দুপুরে আমাদের অনুশীলন ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলার পর আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। হ্যাঁ! শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পর মনোবল গেছে কমে। এতে করে আমাদের সম্ভাবনা প্রায় শেষ।।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমাদের আগামীকালও ভাল খেলতে হবে। ছেলেরা মুখিয়ে আছে সামর্থ্যের সেরাটা উপহার দিতে। আমরা শ্রীলঙ্কার সাথে বেশ ভাল অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু এক-দুটি ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলেছি। ছেলেরা জানে দেশে প্রত্যাশা প্রচুর, মিডিয়ার উৎসাহও অনেক বেশি। তারা জানে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তারা তাদের দেশের জন্য খেলবে। এবং শতভাগ উজার করে চেষ্টা করবে।’