দেশের অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে: কাদের
দেশের অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে এ কারণে করের মাধ্যমে সেই টাকা ফেরত আনতে সরকার সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তবে, সুফল না এলে এ সুযোগ উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
বাজেটে কর দেওয়ার মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার ঘোষণায় পাচারকারিরা আরও উৎসাহী হবে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ঠিক সেভাবে দেখলে হবে না। দেশের অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা সেই সুযোগটা দিচ্ছি। আমরা দেখি, যদি এই সুযোগের সুফল না আসে তাহলে আমরা সুযোগটা উঠিয়ে নেবো। এই বাজেটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে এর থেকে আমরা সুফল পেতে পারি এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে। এর সুফলটা আমরা পেতে পারি এই সম্ভবনায়। আর সুফল না পেলে সুযোগ উঠিয়ে নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। তাদের বক্তব্য যদি সত্যই হিসেবেই ধরেনি, তাহলে সাত শতাংশ করদানের মাধ্যমে কেউ টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে মির্জা সাহেবদের খুশি হওয়ার কথা। এখন কেন তারা অভিযোগ করছে? অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলবেন, আর যখন টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেবে, তখনও অভিযোগ করবেন, সেটাতো আপনাদের দ্বিচারিতা। ক্ষমতায় থাকাকালে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুইবার কালো টাকা সাদা করেছেন বাংলাদেশের মানুষ জানে কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। পাচারকারি হিসেবে আপনাদের বিশ্ব রেকর্ড।
বিএনপির নেতারা শেখ হাসিনাকে অসম্মান করে কথা বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমারা উচ্চারণ করি খালেদা জিয়া। কিন্তু তারা (বিএনপি) বলে, হাসিনা তুই। পঁচাত্তরের কথা বলে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা কখনও খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাস্তার ভাষায় সম্বোধন করিনি। তারা রাস্তায় ভাষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষযক সম্পাদক মৃনাল কান্দি দাশ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সজিত রায়ন্দ্রী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।