দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের উপর ২৯তম স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে। ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার।
২৮তম স্প্যান বসানোর ২৩ দিনের মাথায় বসানো হলো ২৯তম স্প্যানটি। পদ্মাসেতুতে স্প্যান বসানো বাকি এখন ১২টি। চীনে পদ্মাসেতুর সর্বশেষ দুটি স্প্যানের কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে স্প্যান দুটির মালামাল ও যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায়।
সোমবার (০৪ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে পিলারের উপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এর আগে রোববার সকালে স্প্যানটিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে আনা হয় নির্ধারিত পিলারের কাছে। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী সূত্র জানায়, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয় ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারে। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পদ্মাসেতুতে এ নিয়ে পাঁচটি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর কাজে আগের চেয়ে শ্রমিক কমেছে তাই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পদ্মাসেতুর কাজের গতি কমেছে। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় আছে ৩৯টি। যার মধ্যে ২৯টি স্থাপন করা হয়েছে এবং ১০টি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ওয়েল্ডিং, এ্যাসেম্বলি ও পেইন্টিং এর কাজ চলছে। বাকি ২টি স্প্যান যা মিলে ২৩০টি নোড/কর্ড অংশ, এরই মধ্যে ১৯৩ চীন থেকে মংলা বন্দরে পৌঁছেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওয়া পৌঁছে যাবে আশা করা যায়।
প্রকৌশলীরা জানান, সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি বসানো শেষ হয়েছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি। এর মধ্যে ২৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।