দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে যা সংরক্ষণ করা উচিত
আতঙ্কিত হয়ে দোকানের সব জিনিস কিনে আনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস খানিকটা মজুদ করে রাখলে ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করে।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন অবস্থা মোকাবিলায় যে সকল খাবার সংরক্ষণে রাখা জরুরি সে সম্পর্কে জানানো হল।
শস্য: আটা, চাল-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রয়োজনের চেয়ে খানিকটা বাড়তি সংরক্ষণে রাখতে পারেন। তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। স্বাভাবিক ভাবে যা প্রয়োজন তার চেয়ে কেবল একটা বেশি ক্রয় করুন। যেমন- স্বাভাবিকভাবে আটা ৫ কেজি কিনে থাকলে এবার ১০ কেজি কিনে রাখতে পারেন।
শুকনা খাবার: সিরিয়াল্স, ডিম, রুটি, মাখন ইত্যাদি নানাভাবে খাওয়া যায়। তাই খাদ্য সংক্রট মোকাবিলা করতে এসব খাবার কিনতে পারেন। এগুলো আপনাকে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে। তাছাড়া এসকল খাবারের মেয়াদও অনেকদিন থাকে।
টিনজাত খাবার: মানুন আর না মানুন, এটাই সত্যি যে, খাদ্যসংকট দেখা দিলে টিনজাত খাবার ভালো বিকল্প। একাধিকভাবে ব্যবহার করা যায় এমন টিনজাত মাছ, ফল ও সবজি কমপক্ষে দুয়েকটা কিনে মজুদ রাখতে পারেন।
বাটার ও সস: যে কোনো অবস্থায় খাদ্য সংকট এড়াতে রুটি ও মাখন ভালো উপায়। এটা যে কোনো বয়সের মানুষেরই পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। সস বা কেচাপ যে কোনো খাবার যেমন- নুডুলস, রুটি, পিৎজা বা পাকোড়া ইত্যাদির স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করে।
মূলজাতীয় সবজি: এসকল সবজি অনেকদিন ভালো থাকে। আলু, গাজর, পেঁয়াজ ইত্যাদি সংরক্ষণে রাখতে পারেন। যদি তা নরম হয়ে যায় তাহলে বরফ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না তা সতেজ হয়ে ওঠে।