দুর্নীতি-অনিয়ম যেন না হয়: প্যাকেজ ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আবারও সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শুধু এই টুকু চাই সবাই যেন সততার সঙ্গে কাজ করেন।’
রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে বিশ্বে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা ও আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার পর এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কষ্ট করুক সেটা আমি চাই না। সবার কষ্ট লাঘব করাটাই আমাদের দায়িত্ব। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এ প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছি। সুবিধাটা সবাই পাবেন।’
‘শুধু এ টুকু চাই সবাই যেন সততার সঙ্গে কাজ করেন। এ সুযোগ নিয়ে কেউ যেন আবার কোন রকমের দুর্নীতি বা কোন অনিয়ম, অপব্যবহার না করেন। এটা নিয়ে কেউ কোনো ধরনের অপব্যবহার করবেন না।’
‘আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি, তবে কোনো সেকশনের মানুষই, কেউই কোন অসুবিধায় পড়বেন না। সেদিক লক্ষ্য রেখেই আমরা আজকে এ আয়োজন করেছি।’
সবাইকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য আসছিল। অনেকেই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। যেমন বেশির ভাগ ছোট ছোট ব্যবসা, আমাদের কৃষি, কামার-কুমার-জেলে-তাঁতি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পোল্ট্রি, মৎস্য, ডেইরিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় যারা নিয়োজিত সবাই একটা সমস্যা পড়ে গেছেন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, তাদের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা, সব কিছু নিয়ে। বিভিন্ন বিল, বিদ্যুৎ বা অন্যান্য বিল দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন।’
‘তাদের দুশ্চিন্তা দূর করার জন্যই আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজেই ভবিষ্যতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা যাতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যটা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। কেউ কষ্ট করুক সেটা আমি চাই না। সবার কষ্ট লাঘব করাটাই আমাদের দায়িত্ব। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এ প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছি।’
আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ; সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি; সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি এ চারটি কার্যক্রম নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মপরিকল্পনায় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধিসহ অন্য তিনটি কার্যক্রম বাদে শুধু আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যােলয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।