দুর্নীতিকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই : ওবায়দুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দুর্নীতিকে অন্যভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতির দ্বিতীয় কোনো ব্যাখা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দুর্নীতি বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের এক মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, দুর্নীতির দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। দুর্নীতিকে ‘দুর্নীতি’ হিসেবেই দেখবো। ঘুষ ঘুষই, দুর্নীতি দুর্নীতিই। জানি না কোন যুক্তিতে কোন সরল বিশ্বাসে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন। ঘুষ-দুর্নীতিকে অন্যভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা যত কঠিনই হোক না কেন আমরা প্রথমে তাদের কারণ দর্শানোর সুযোগ দেবো। তারা তিন সপ্তাহ সময় পাবেন, এর মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে। শুধু দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নয়, এর পেছনে যারা সমর্থন দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের সহযোগী সংগঠনের যারা বিদ্রোহী ছিল বা সহায়তা করেছে ওইসব সংগঠনকেও বলা হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। শনিবার (২০ জুলাই) সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথ সভা আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল, সংসদে দলটির অনেকগুলো আসন আছে। জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ সাংগঠনিক অবস্থা কি হবে সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। কিভাবে দল পরিচালনা করবে সেটা তাদের বিষয়। তবে যে দল সময়োপযোগী রাজনীতি বেছে নিতে পারে সেই দল টিকে থাকবে। সময়োপযোগী রাজনীতি বেছে নেওয়াই রাজনৈতিক দলের কাজ।
বিএনপির কর্মসূচিতে সরকারের বাধা দিচ্ছে, দলটির নেতাদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ অভিযোগ তাদের পুরনো, এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপির কর্মসূচিতে কোথাও কোনো সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। তারা বরিশালে সমাবেশ করেছে। বিএনপিতো কখনও উন্নয়ন করেনি তাই উন্নয়ন দেখে না। তাদের ৩০ সাল পর্যন্ত মেনুফেস্টো ডিপ ফ্রিজে ঢুকে গেছে। তারা উন্নয়নের বুঝবে কি।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দল ও সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমাদের টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় যাচ্ছে। আজকেও জামালপুর ও গাইবান্ধায় আমাদের প্রতিনিধি গিয়েছে। বন্যার্তদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে। যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরো ত্রাণসমগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।