দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার এনু, রিমান্ডে রুপন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা রুপন ভূঁইয়াকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার রুপনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান। অপরদিকে রুপনের ভাই এনামুল হক এনুকে দুদকের আলাদা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন মঞ্জুর করেছেন একই বিচারক।
এনামুল গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রুপন একই থানা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা আলাদা মামলা হয়।
এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর করা মামলায় ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা করেন তার এজাহারে বলা হয়েছে, রুপন অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
সর্বশেষ ২০১৯-২০ করবর্ষে তার দাখিল করা আয়কর রিটার্নেও কোনো স্থাবর সম্পদের তথ্য দেননি তিনি। তবে ব্যবসার পুঁজি বাবদ ২ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার ৮৫২ টাকাসহ ৩ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ৯১১ টাকার অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ব্যবসার পুঁজি এবং ‘এনু রুপন স্টিল কর্পোরেশন’র শেয়ার বাবদ প্রদর্শিত ২ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৪৮১ টাকা অর্জনের সপক্ষে কোনো বৈধ আয়ের উৎস দেখাননি। এটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।