‘দুই মিনিটে মুহিবুল্লাহ খুনের মিশন শেষ’
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক।
তিনি বলেন, ‘কিলিং স্কোয়াডে ৫ অস্ত্রধারী ছিলেন। যারা মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহর হত্যার মিশন শেষ করে পালিয়ে যান। এ হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত।’
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে এসপি নাইমুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কথা বলতে রাতে ঘর থেকে বের করেন হত্যার পরিকল্পনাকারীরা। হত্যার দুই দিন আগে মারকাজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করেন তারা। মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে ডেকে আনেন গ্রেপ্তার মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দেন সেই।’
তিনি আরও জানান, মোট চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এসময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে।
উল্লেখ্য, মুহিবুল্লার মূল উত্থান হয় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা আগমনের বর্ষপূর্তিতে। ওই দিন তিনি লাখো রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটিয়ে আলোচনার তুঙ্গে এনেছিলেন নিজেকে। সেদিন তার নেতৃত্বে ছিলো ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গার মহাসমাবেশ।
এরপর তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ মুহিবুল্লাহ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।