দিল্লি সহিংসতা: ৬ মুসলিমকে বাঁচিয়ে জীবন সঙ্কটে প্রেমকান্ত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধিতায় দিল্লিতে শুরু হওয়া আন্দোলন কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় সহিংসতায় রূপ নেয়। আর সেই সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা মুসলমানদের দোকানপাট, বাড়িঘর, মসজিদ মাদরাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ অবস্থায় অসহায় মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী হিন্দুরাও। এমনই এক সমব্যথী যুবক প্রেমকান্ত। প্রতিবেশী মুসলিমদের ওপর বর্বর অত্যাচার সইতে না পেরে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আগুন ৬ জন মুসলমানের জীবন বাঁচিয়ে তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, প্রতিবেশী ৬ মুসলিমকে আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়াবহ পুড়ে গেছেন দিল্লির বাসিন্দা প্রেমকান্ত বাঘেল। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-প্র্বূ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ালেও শিব বিহার এলাকাতে শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকা ওই এলাকার কিছু মুসলিম বাসিন্দার বাড়িতে পেট্রোল বোমা মারতে শুরু করে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এর ফলে বেশ কয়েকজনের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ খবর শোনার পরেই তাদের বাঁচাতে ছুটে যান প্রেমকান্ত বাঘেল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানতে পারেন তার এক বন্ধুর বৃদ্ধা মা ও আরও কয়েকজন মানুষ বাড়িতে আটকা পড়েছেন। সেখানে ভয়াবহ আগুন লেগে যাওয়ায় কেউ তাদের উদ্ধার করতে যাচ্ছিল না। কিন্তু স্থির থাকতে পারেননি প্রেমকান্ত। আশপাশের সবাই নিষেধ বারণ করলেও জ্বলন্ত বাড়ির মধ্যে ঢুকে বন্ধুর বৃদ্ধা মাসহ মোট ৬ জনকে বাইরে বের করে আনেন। ততক্ষণে শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায় প্রেমকান্তর।
তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রতিবেশী আর কেউ এগিয়ে আসেনি। আর বেঁচে যাওয়া মুসলিম প্রতিবেশীরাও ছিলেন আহত এবং তাদের লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। পরদিন সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।