দিঘলিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবলীগকর্মীর মৃত্যু
দ: প্রতিবেদক
খুলনার দিঘলিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হায়বাত শেখ (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গত সোমবার রাতে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি মারা যান।
হায়বাত শেখ দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামের সত্তার শেখের ছেলে। তিনি যুবলীগ কর্মী ছিলেন। এঘটনায় স্থানীয়রা জসিম নামের একজনকে আটক করে।
নিহতের চাচাতো ভাই ওয়ার্ড মেম্বর ইরান শেখ জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর নিহত হায়বাতের চাচা টিপু সুলতানকে এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় নির্মমভাবে হত্যা করে। ঐ ঘটনায় তার ছেলে আলমগীর বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উলেখ এবং অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে (মামলা নং ৫, তাং ৮/৯/১৯)। মামলাটি হায়বাত দেখাশুনা এবং তদারকি করার কারণে মামলার পালাতক আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ১৪ অক্টোবর সোমবার রাত ৯টায় হায়বাত বাড়ী ফেরার পথে পদ্মবিলা গ্রামের সরদার বাড়ী খালের পাড় রাস্তার মধ্যে ১০/১২জন চিহিৃত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় এবং পায়ে এলোাপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে ফেলে রাখে। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে আরিফ সরদারের পুত্র জসিম সরদারকে আটক করে।
হায়বাতকে মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ১২টায় সে মারা যায়। মেম্বর ইরান শেখ জানান, মৃত্যুর আগে নিহত রায়বাত তাকে হামলাকারীদের নাম বলে গেছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মানস রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত। নিহত হায়বাতের একটি মোবাইল চুরি হওয়ায় হামলাকারীদের একজনকে সে চোর অপবাদ দেওয়ায় তার উপর হামলা করে তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।