দিঘলিয়ায় ব্যবসায়ী ইয়াসিন হত্যা মামলার এজাহার পাল্টানোর অভিযোগ মায়ের
দ. প্রতিবেদক
দিঘলিয়া উপজেলার পথেরবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইয়াসিন শেখ (৪২) হত্যা মামলার এজাহার পাল্টানোর অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি ও নিহতের মা হাফিজা বেগম। তিনি বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, “গত ২৫ জুলাই রাতে আমার ছেলে ইয়াসিন শেখকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৬ জুলাই আসরবাদ জানাযার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। ২৭ জুলাই আমি ও আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য একটি লিখিত এজাহার নিয়ে মামলা করার জন্য দিঘলিয়া থানায় উপস্থিত হই। আমার ছেলে ইয়াসিনকে যারা হত্যা করেছে, ইন্ধন যুগিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে তাদের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার থানায় জমা দেই। পুলিশ আমাকে বসতে দিয়ে বললেন মামলা নেওয়া হবে একটু বসেন। আমি ২ ঘণ্টার বেশী থানায় বসে থাকি। এরপর পুলিশ একটি কাগজ এনে বলেন, এখানে স্বাক্ষর করেন। আমি বললাম এটি কি? জবাবে বলেন, মামলা হয়েছে তাই স্বাক্ষর করতে হবে। আমি সরল মনে স্বাক্ষর করে চলে আসি। বাড়ি এসে রাতে শুনতে পাই আমি যে অভিযোগটি দাখিল করেছি পুলিশ সেই অভিযোগ পাল্টে ফেলে তাদের লেখা এজাহারে আমার স্বাক্ষর করিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে। এত বড় প্রতারণা দেখে আমি শংকিত আমার ছেলে ইয়াসিন হত্যার বিচার নিয়ে।”
লিখিত অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি আমার যে অভিযোগপত্র দিয়েছিলাম সেখানে ৩২ জনকে আসামী করেছিলাম ও স্বাক্ষীর নাম উল্লেখ ছিলো। কিন্ত পুলিশ যে অভিযোগপত্র রেকর্ড করেছে তাতে ১৫ জনকে আসামী করেছে এবং মামলার স্বাক্ষীর নাম পরিবর্তন করে দেয়। যে সকল আসামী আমার ছেলেকে কুপিয়েছে তাদের অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত কেন এমনটি করা হলো? আমি প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের কাছে এর সুবিচার চাই।”
হত্যাকাণ্ডের শিকার ইয়াসিন শেখের মা হাফিজা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, “পুলিশ সুপার স্যার, সার্কেল অফিসার স্যারের উপস্থিতিতে ২৭ জুলাই নিহত ইয়াসিন শেখের মা হাফিজা বেগম আমাদের কাছে যে এজাহার দিয়েছেন সেটাই আমরা মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছি। এ সংক্রান্ত সকল প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই”।
গত ২৫ জানুয়ারী রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চন্দনীমহল গাজীপাড়ায় খুন হন দিঘলিয়ার পথেরবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইয়াসিন শেখ (৪২)। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা রেকরর্ড হয়। মামলা নং ৯ তাং ২৭/০৭/২০২১। ধারা ৩০২/৩৪।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়