দিঘলিয়ার দেয়াড়ায় নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের শত পরিবার
গাজী জামসেদুল ইসলাম, দিঘলিয়া
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নদী দ্বারা বেষ্টিত। এ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ভৈরব, আতাই এবং আঠারোবাকী নদী দ্বারা ঘেরা। দিঘলিয়া সদর, সেনহাটী এবং বারাকপুর এই তিন ইউনিয়নে কয়েক লক্ষ মানুষের বসবাস। কয়েক বছর যাবত এই দ্বীপের মানুষ নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কারণে আতংকিত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া ৫নং ওয়ার্ডের দেয়াড়া কলোনি সংলগ্ন চৌধুরী গোডাউন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় বাড়িঘর হারানোর আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের শত শত পরিবার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের দেয়াড়া ৫নং ওয়ার্ড এর পপুলার পাট গোডাউনের পর থেকে জলিল খানা নামক স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন ধরেছে। জলিল খানার পরেই জাতীয় সংসদের বর্তমান চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন ও তার সহোদর জাতীয় সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী গোডাউন ও সম্পত্তি ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। গত আগস্ট মাসে চৌধুরী গোডাউন এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা এর তত্ত্ববাবধানে ছয় হাজার বালু ভর্তি জিও বস্তা নদীতে ফেলে সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করা হয়। নতুন করে ভৈরব নদীর ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় দেয়াড়া কলোনির নদী পাড়ের মানুষ ঝুঁকিতে থাকা বসতঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হলেও ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় জনগন বলেন, নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় এই এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমান জানান, দেয়াড়া ৫নং ওয়ার্ডের সামনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ২৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
ভাঙ্গনের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পনি উন্নয়ন বোর্ডের মনোনীত প্রতিনিধি মোঃ হাবিবুর রহমান তারেকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেয়াড়া কলোনির ভাঙ্গনের ব্যাপারি আমি এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৮ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে পঠিয়েছেন যা আগামী অর্থ বছরে পাশ হওয়ার সম্ভাবণা আছে। এছাড়াও দিঘলিয়া উপজেলার যে সকল স্থানে ভাঙ্গণ দেখা যাবে সেখানে দ্রুত সময়ে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়