‘দারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতে উস্কানি দিচ্ছেন’ অভিযোগ সালাম মূর্শেদীর
খুলনা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকার নির্বাচনী শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করতে উস্কানি দিচ্ছেন। তার এ ধরনের আচরণ শুধু নিন্দনীয় নয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মিথ্যাচারও বটে। সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়ের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। তিনি সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়ানোর উদ্দেশ্যে কারো কারো ব্যক্তি পর্যায়ের শত্র“তাকে নির্বাচনী রঙ মাখার অপচেষ্টা করছেন মাত্র।
বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে উৎসবের পাশাপাশি তাপ উত্তাপ ও থাকবে। খুলনা-৪ আসনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। কারো কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা বিভিন্ন সংস্থায় একের পর এক অসত্য অভিযোগ দিয়ে আসছেন যা মনগড়া, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। আমার কোন কর্মী সমর্থক দারার কর্মী সমর্থকদের মারধর, প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেনি।
বরং গত ২৪ ডিসেম্বর আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুল তার ভাই আরিফুজ্জামান লিটন ও মনিরুজ্জামান মনি নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার অপরাধে শ্রমিক লীগনেতা ও আমার কর্মী বাবুল হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি মারধর গালি গালাজসহ জীবননাশের হুমকি দেয়। এ সময় তারা কাচারিঘাট পাটনিজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদারকে ভোটকেন্দ্রে গেলে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে রূপসা থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।
এছাড়া গত ২৬ ডিসেম্বর বারাকপুর ইউনিয়নে গণসংযোগকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী দারা নিজে আমার কর্মী ২নং বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলকে গালাগালি করে এবং হত্যার হুমকি প্রদান করে। ৩০ ডিসেম্বর আমার নির্বাচনী কর্মী তেরখাদা ছাগলাদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলাম এবং গত ২৭ ডিসেম্বর চন্দনীমহল এলাকায় সেনহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফ গাজীকে গণসংযোগকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা নিজেই হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম মূর্শেদী আরো বলেন, ৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা তার দেওয়া নির্বাচনী পোলিং এজেন্টরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারী নেতা ও কর্মী। দারা সাহেব নিজে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর মতো জঘণ্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তিনি তার হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘ভোট যাকে দাও, ঘোষণা হবে শালা মোর্শেদের পক্ষে”। এ ধরনের কাল্পনিক ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী দারা সাহেব অর্বাচীনের মতো ব্যবহার করছেন। “তিনি একদিকে বলছেন মুজিব আদর্শের সৈনিক, আবার বলছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী” অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখর নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দ্বি-চারিতার পরিচয় দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি’র প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এড. এম এম মুজিবুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ^াস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, অধ্যক্ষ ফ ম আব্দুস সালাম, সদস্য জামিল খান, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, দিঘলিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোলা আকরাম হোসেন, তেরখাদা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম ওয়াহিদুজ্জামান, রূপসা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, তেরখাদা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন, নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ, খুলনা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল দাস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ।