September 19, 2024
জাতীয়

দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদার অর্থদণ্ড স্থগিত

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি শোনেনি আদালত। জামিনের আবেদনটি নথিভূক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়েছে। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করবে আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। তার সঙ্গে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন ফিরকার, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জামিনের বিষয়ে আদালত বলেছে, সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দেই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় উচ্চতর আদালত সাজা বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল দিচ্ছি না।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর এই মামলার রায় হয়।

পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর গত বছর ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা। এ মামলায় দণ্ডিত চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের আইনজীবী আখতারুজ্জামানও ইতোমধ্যে রায় পর্যালোচনা করে আপিলের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *