December 21, 2024
লাইফস্টাইল

দাগহীন ত্বকে দাগ কাটুন মনে

মেকআপের জাদুস্পর্শেই পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক

উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে বারবিকিউ আর কেক বেকিংয়ের গন্ধ। তার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বর্ষপূর্তির পার্টির প্রস্তুতি। হালফ্যাশনের গরম পোশাকও বোঝাই হয়ে রয়েছে ওয়ার্ড্রোবে। এ বার চাই শুধু মেকআপে ফ্ল-লেস ফিনিশ। যে মেকআপে দাগছোপ ঢাকা পড়ে, ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম, উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত।

মেকআপ শুরুর আগে

ফ্ল-লেস ফিনিশ পেতে ত্বকের পিছনে খাটতে হবে। নিয়মিত ক্লেনজ়িং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজ়িং (সিটিএম) জরুরি। তৈলাক্ত, শুষ্ক, স্বাভাবিক ও স্পর্শকাতর— ত্বক অনুসারে এই সিটিএম রুটিন মেনে চলতে হবে। তবে ত্বকের নিয়মিত চর্চাও অনেক সময়ে যথেষ্ট নয়। শান্তশিষ্ট নরম ত্বকের উপরে দূষণ দস্যির বেপরোয়া আক্রমণ, স্ট্রেসের দৌরাত্ম্য, বয়সের দাপট নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ কথা নয়। তাই নিজের ত্বকের সমস্যা বুঝে সেই অনুসারে নিয়মিত যত্নও জরুরি।

এ বার শুরু সাজপাঠ

মেকআপের প্রথমে ত্বককে তৈরি করা জরুরি। তাই ক্লেনজ়িং, টোনিং হয়ে গেলে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। কারও ত্বক যদি খুব ড্রাই হয়, তা হলে তা জানান দেবে। মিনিট পনেরো পরেও যদি ত্বক নির্জীব দেখায়, আর একটু ময়শ্চারাইজ়ার মেখে নিন। আবার মিনিট পনেরো অপেক্ষা। তার পরে শুরু করুন মেকআপ।

• চোখের তলায় কালি, পিগমেন্টেশন, অ্যাকনের দাগছোপকে মেটাতে কনসিলার নিন প্রথমেই। দাগের উপরে আলতো হাতে কনসিলার লাগিয়ে নিন। তার পরে প্রাইমার। ত্বকের ইভ্‌ন বেস তৈরি করতে এর জুড়ি নেই। এতে ত্বকের পোর্‌স ঢাকা পড়ে যায় আর এর উপরে ফাউন্ডেশন লাগানোও সহজ হয়। প্রাইমার মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ীও করে। তাই মেকআপে প্রাইমার মাস্ট। ত্বকে রোম বেশি থাকলে প্রাইমার সব সময়ে উপর থেকে নীচের দিকে টানতে হবে।

• এ বার ফাউন্ডেশনের পালা। কেনার সময়েই দেখে নিন, আপনার স্কিনটোনের জন্য ঠিক ফাউন্ডেশন নিচ্ছেন কি না। সাধারণত হাতের ত্বকেই ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি ভুল। বরং নিজের স্কিনটোনের কাছাকাছি তিনটি শেডের ফাউন্ডেশন বেছে নিন। মুখের জ’লাইনে এই তিনটি শেডের ফাউন্ডেশন পাশাপাশি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পরে আয়না দেখুন কোন শেড সবচেয়ে ভাল মিশেছে। সেটাই কিনুন। ফাউন্ডেশন কিন্তু অনেক ধরনের হয়। কিছু ফাউন্ডেশন অনেক বেশি কভারেজ দেয়। সেগুলি সাধারণত বেশ ঘন হয়। এতে ত্বকের দাগছোপও ঢাকা পড়ে সহজে। অন্য দিকে কিছু ফাউন্ডেশন পাউডারি ফিনিশ দেয়। যেমন ম্যাট ফাউন্ডেশন। এগুলি আবার শুষ্ক ত্বকে একেবারেই লাগানো উচিত নয়। তা হলে কিছুক্ষণ পরেই ত্বক ফেটে ফেটে মেকআপের প্যাচ দেখা দেবে। তৈলাক্ত না শুষ্ক না কি কম্বিনেশন… ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বেছে নিন।

• মেকআপের সময়ে প্রাইমারের পরে ফাউন্ডেশন লাগান। তার জন্য আঙুলের ডগায় ফাউন্ডেশন নিয়ে আগে মুখের চারপাশে ফোঁটা ফোঁটা লাগিয়ে নিন। তার পরে মেকআপ স্পঞ্জ দিয়ে ব্লেন্ড করুন। অনেকে মেকআপ ব্রাশও ব্যবহার করে থাকেন। তবে স্পঞ্জ দিয়েই সবচেয়ে ভাল ব্লেন্ড করা যায়। মেকআপ ব্লেন্ড করার সময়ে কোনও জায়গায় যদি মনে হয় ফাউন্ডেশন কম, আর এক বার প্রয়োগ করতে পারেন।

• পুরো ফাউন্ডেশন লাগানো হয়ে গেলে ফেস মিস্ট স্প্রে করে নিন ত্বকে। তার পরে হাওয়ায় তা শুকোতে দিন। এতে মুখের মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ত্বকও স্বাভাবিক দেখায়।

• হাইলাইটার ব্যবহার করুন চিকবোনের উপরে। দু’ড্রপ হাইলাইটার দিয়ে তা ব্লেন্ড করে দিন। এ বার চোখের ও ঠোঁটের মেকআপ করে সাজ সম্পূর্ণ করুন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *