দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে : মির্জা ফখরুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিএনপি পুনর্গঠনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা কারান্তরীণ খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে। বর্তমানে দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এরপর দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম করে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হবে।
গতকাল শনিবার দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়ায় বর্ষীয়ান রাজনীতিক, ভাষা সৈনিক দেলোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়িতে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রয়াত মহাসচিবের কবর জিয়ারত করেন ফখরুলসহ বিভিন্নর নেতারা। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে কারাভোগ করছেন। তাকে রাজনৈতিক কারণে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে তিনি আগমান্য অবদান রেখেছেন। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব্ব কাঁধে নিয়ে তিনি দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান চিকিৎসাধীন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঘিওরের পাঁচুরিয়ায় জন্ম নেয়া খোন্দকার দেলোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।
ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রয়াত মহাসচিবের ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু ও খোন্দকার আকতার হামিদ ডাবলুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা ছিলেন।