দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকার নাক গলানোর অভিযোগ চীনের
দক্ষিণ চিন সাগর বিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত না হলেও এ নিয়ে দেশটি নাক গলাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চিন বলেছে আমেরিকা পেশি শক্তি প্রদর্শন করছে। চীন এটাকে একেবারেই অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে চিন অন্য কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে- এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে।
তার জবাবে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আমেরিকায় চিনা দূতাবাসের পক্ষ্য থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধে আমেরিকা কোনও ভাবেই সরাসরি জড়িত নয়। তা সত্ত্বেও এই বিষয়ে নাক গলিয়ে চলেছে’।
চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকার পেশি শক্তি প্রদর্শনেরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি স্থাপনের অজুহাতে আমেরিকা আদতে পেশি শক্তি প্রদর্শন করছে। করেও চলেছে। এতে দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। তা ওই এলাকার দেশগুলোর মধ্যে বিরোধকে আরও উস্কে দিচ্ছে’।
বাণিজ্য যুদ্ধের পর আমেরিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে চীনের কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব চলছে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে। যেখানে আরও বেশি কর্তৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা যেমন গত কয়েক বছর ধরেই চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। তেমনই ওয়াশিংটনও দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় তার সহযোগী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। কয়েক বছর আগে দক্ষিণ চীন সাগরে রণতরী পাঠিয়েছিল আমেরিকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে চীনকে আরও কোণঠাসা করতে আবার দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুটিকে সামনে আনল আমেরিকা।