দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ-মৃত্যুর রেকর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। দেশটিতে নতুন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫২ এবং মারা গেছে ৭০ জন। এছাড়া দেশজুড়ে আরও ৯ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে কোরিয়া ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন এজেন্সি (কেডিসিএ)।
সরকার শুক্রবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, রেস্টুরেন্ট, সিনেমাহল এবং অন্যান্য স্থানে লোকজনকে অবশ্যই ভ্যাকসিন পাস দেখাতে হবে। রাজধানী সিওলে জনসমাগমের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একসঙ্গে ৬ জনের বেশি সমবেত হতে পারবেন না। আগে এই সংখ্যা ছিল ১০।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে আগে যেখানে ১২ জন সমবেত হতে পারতেন সেখানে এখন ১০ জন নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার (৬ ডিসেম্বর) নতুন এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
কেডিসিএ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার গুরুতর ৭৫২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন করে আরও তিনজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯য়ে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে নাইজেরিয়া সফর শেষে দেশে ফেরার পর এক দম্পতির দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
ওমিক্রনের সংক্রমণ কমিয়ে আনতে শুক্রবার ভ্রমণকারীদের জন্য ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করা হয়। আগামী দুসপ্তাহ যেসব ভ্রমণকারী দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ করবেন তাদের অবশ্যই ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
গত জুলাই থেকেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। চলতি মাসে প্রথম বার দেশটিতে নতুন করে ৫ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ৯১ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ হাজার ৮০৯ জন।